ইরান তথা শিয়াদের কাছে ইসরাইল ও আমেরিকার চেয়ে বড় শত্রু সৌদি আরব। সুযোগ পেলে তারা সৌদি আরব দখল করবে এবং তাদের চিরস্বপ্ন রাসুল সা.-এর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আবু বকর ও ওমর রা.-এর কবর সরাবে। এজন্য সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইরানি মিডিয়া সব সময়ই সরব। সৌদি শাসকদের নীতি-আদর্শে শত বিচ্যুতি থাকতে পারে; কিন্তু ইরানি মিডিয়া যখন এটাকে ফলাও করে প্রচার করে তখন বুঝতে হবে এখানে শিয়াদের জঘন্য চক্রান্ত আছে। শিয়া মতবাদের উৎপত্তির পেছনে রয়েছে ইহুদি চক্রান্ত। আর তাদের কর্মকাণ্ডও ইহুদিদের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।
মিনা ট্রাজেডি নিয়ে শিয়ারা এক ভয়ঙ্কর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তাদের মিডিয়াগুলো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করেই আমাদের মিডিয়াগুলোও দিব্যি তা প্রচার করে যাচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্য ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নীতি-আদর্শ মুসলিম উম্মাহর স্বার্থপরিপন্থি হলেও হজের ক্ষেত্রে তাদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব যথেষ্ট পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যবস্থাপনা যে আরও ভালো হতে পারে না তা কিন্তু নয়; তবে এখন পর্যন্ত যে ব্যবস্থাপনা সৌদি কর্তৃপক্ষ রেখেছে সেটাকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।
সুতরাং বহুজাতিক হজ ব্যবস্থাপনার যে দাবি উত্থাপন হয়েছে সেটা শিয়াদের চক্রান্ত। আপনি সৌদি আরবের বিরোধী হতেই পারেন, তাই বলে একজন মুসলমান কখনও শিয়া চক্রান্তে সহযোগী হতে পারে না। শিয়াদের সম্পর্কে আপনার জানাশোনা না থাকলে জানুন, দেখুন কত ভয়ঙ্কর মতাদর্শ তাদের। শিয়াদের সম্পর্কে জানার পর কেউ শিয়া আর ইহুদিদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।